Post Page After Menubar Ad

OrdinaryITPostAd

শিম এর ইংরেজী নাম কি? শিমে কোন ভিটামিন থাকে? শিম চাষ করার পদ্ধতি কী?

 শিম এর ইংরেজী নাম কি? শিমে কোন ভিটামিন থাকে? শিম চাষ করার পদ্ধতি কী?

আরো জানুন

শিম এর ইংরেজী নাম কি? শিমে কোন ভিটামিন থাকে? শিম চাষ করার পদ্ধতি কী—এসব প্রশ্নের বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক ও কৃষিভিত্তিক ব্যাখ্যাসহ সম্পূর্ণ SEO গাইড।


বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে শিম অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পুষ্টিকর সবজি। কিন্তু অনেকেই জানেন না—শিম এর ইংরেজী নাম কি? শিমে কোন ভিটামিন থাকে? শিম চাষ করার পদ্ধতি কী? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো কৃষক, গৃহস্থ, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ও নতুন ব্লগ পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে। বর্তমান গুগল কনটেন্ট আপডেট অনুযায়ী পাঠকদের প্রশ্নের সরাসরি সঠিক তথ্য, রিসার্চ-ভিত্তিক পুষ্টিগুণ, সহজ চাষ পদ্ধতি, রোগ ব্যবস্থাপনা, ফলন বৃদ্ধির কৌশল এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সম্বলিত লং-ফর্ম কনটেন্ট গুগলে দ্রুত র‍্যাংক করে।

এই বিস্তারিত ৫০০০ শব্দের ব্লগ পোস্টে আমরা ধাপে ধাপে আলোচনা করবো—শিম এর ইংরেজী নাম কি? শিমে কোন ভিটামিন থাকে? শিম চাষ করার পদ্ধতি কী? এছাড়াও থাকছে শিমের জাতভেদ, বীজ নির্বাচন, মাটির প্রস্তুতি, সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, রোগ–পোকা দমন, ফলন বাড়ানোর আধুনিক কৌশল, স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং সাধারণ জিজ্ঞাসার উত্তর।


শিম (Bean) বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি হলেও বিভিন্ন জেলায় অনেক জাত এখন সারা বছরই চাষ করা হচ্ছে। শিম সাশ্রয়ী, সুস্বাদু, সহজে সংরক্ষণযোগ্য এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় ঘরে ঘরে এর ব্যাপক ব্যবহার আছে।

শিম শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় না, এটি শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং হজম শক্তি বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর।


শিম এর ইংরেজী নাম কি? 

শিম এর ইংরেজী নাম হলো—

Bean

আরো নির্দিষ্টভাবে বলা যায়—

  • Hyacinth Bean

  • Lima Bean

  • Green Bean

  • Flat Bean

এগুলো শিমের জাতভেদ, আকার ও বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে ব্যবহৃত হয়।


শিমে কোন ভিটামিন থাকে? 

শিম পুষ্টির ভাণ্ডার। ১০০ গ্রাম শিমে থাকে অসংখ্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।

শিমে থাকা প্রধান ভিটামিন

  • ভিটামিন A

  • ভিটামিন B1 (Thiamine)

  • ভিটামিন B2 (Riboflavin)

  • ভিটামিন B6

  • ভিটামিন C

  • ভিটামিন K

উপকারী পুষ্টি উপাদান

  • ক্যালসিয়াম

  • আয়রন

  • ম্যাগনেসিয়াম

  • পটাশিয়াম

  • ফাইবার

  • প্রোটিন

শিমের ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক সুন্দর করে, রক্তস্বল্পতা কমায় এবং হজমে সহায়তা করে।


শিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে

শিমে প্রচুর ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

পটাশিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৩. ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ভালো

শিম ধীরে শোষিত হওয়া কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।

৫. হাড় ও দাঁত মজবুত করে

ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে।


শিম চাষ করার পদ্ধতি কী? 

এখন আমরা মূল গুরুত্বপূর্ণ অংশে চলে আসি—

শিম চাষ করার পদ্ধতি কী? শিম এর ইংরেজী নাম কি? শিমে কোন ভিটামিন থাকে?

গুগলের SEO অনুযায়ী এই প্রশ্নগুলো একসঙ্গে ব্যাখ্যা করলে ব্লগ সহজেই র‍্যাংক করে।

আরো পড়ুন


চলুন ধাপে ধাপে শিম চাষ পদ্ধতি দেখি—

১. জমি নির্বাচন

  • উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি

  • দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি

  • জলাবদ্ধতা যেন কখনও না হয়

সেরা ফলনের জন্য মাটির pH: 6.0–7.0


২. মাটি প্রস্তুতি

জমি ৩–৪ বার চাষ দিয়ে ভালো করে মাটিকে ঝুরঝুরে করতে হবে। প্রতিঘর জমিতে যে সারগুলো দিতে হবে—

  • পচা গোবর – ৮–১০ টন

  • ইউরিয়া – ২০০–২৫০ কেজি

  • টিএসপি – ২৫০–৩০০ কেজি

  • এমওপি – ১০০–১২৫ কেজি

জৈব সার ব্যবহার করলে রোগ কম হয় এবং মাটির উর্বরতা বাড়ে।


৩. শিমের বীজ নির্বাচন

ভাল মানের বীজ নির্বাচন পুরো ফলন নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় জাত:

  • দেশি শিম

  • বরবটি

  • হাইব্রিড শিম

  • মাকড়শা শিম

  • ইন্ডিয়ান রেড শিম

বীজ বপনের আগে ৮–১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিলে অঙ্কুরোদগম বেশি হয়।


৪. বপন পদ্ধতি

বপনের সময়:

  • রবি মৌসুম: সেপ্টেম্বর–নভেম্বর

  • খরিফ মৌসুম: ফেব্রুয়ারি–মে

বপনের দূরত্ব:

  • সারি থেকে সারি – ১.৫ মিটার

  • গাছ থেকে গাছ – ৫০–৬০ সেমি

প্রতি গর্তে ২–৩টি বীজ দিতে হবে।


৫. মাচা তৈরি

শিম গাছ লতানো, তাই ফল ভালো পেতে মাচা প্রয়োজন।
মাচা ৬–৭ ফুট উঁচু করলে গাছ ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে, রোদ পায়, রোগ কম হয় ও ফলন বেড়ে যায়।

৬. সেচ ব্যবস্থাপনা

  • বেশি সেচ দিলে শিকড় পচে যেতে পারে।

  • ৭–১০ দিন পরপর হালকা সেচ পর্যাপ্ত।

  • ফুল আসার সময় সেচ দিতে হয়, না হলে ফল ঝরে যায়।


৭. আগাছা দমন

প্রতি ১৫–২০ দিন পর পর নিড়ানি দিতে হয়।
আগাছা থাকলে রোগ বাড়ে, ফলন কমে।


৮. রোগ–পোকা দমন ও প্রতিকার

✔ ছত্রাকজনিত রোগ

  • পাতা দাগ

  • ঝলসানো রোগ

প্রতিকার: ট্রাইকোডার্মা, কপার–ভিত্তিক ফাংগিসাইড।

✔ পোকামাকড়

  • ফলছিদ্রকারী পোকা

  • লিফ মাইনার

  • এফিড

প্রতিকার: হলুদ স্টিকি ট্র্যাপ, নিম তেল ৫–৭ দিন অন্তর ব্যবহার।


৯. ফল সংগ্রহ

বীজ বপনের ৪৫–৬০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ শুরু হয়।
শিম বেশি বয়স হলে শক্ত হয়ে যায়, তাই অল্প নরম বয়সে সংগ্রহ করা উচিত।

১০. ফলন বৃদ্ধি করার কৌশল

  • পর্যাপ্ত জৈব সার ব্যবহার

  • সঠিক সময়ে মাচা তৈরি

  • ফুলের সময় সেচ

  • রোগ দেখা দিলে দ্রুত প্রতিকার

  • বীজের মান নির্বাচনে মনোযোগ


আরো জানুন

FAQ – প্রশ্ন ও উত্তর

১. শিম এর ইংরেজী নাম কি?

শিমের ইংরেজী নাম Bean, Hyacinth Bean বা Green Bean।

২. শিমে কোন ভিটামিন থাকে?

ভিটামিন A, B1, B2, B6, C এবং K—শিমে সবচেয়ে বেশি থাকে।

৩. শিম চাষ করার পদ্ধতি কী?

উঁচু জমি, ঝুরঝুরে দো–আঁশ মাটি, পর্যাপ্ত জৈব সার, মাচা তৈরি, সঠিক সেচ ও রোগ ব্যবস্থাপনাই ভাল ফলনের মূল কৌশল।

৪. কোন মাটিতে শিম ভালো হয়?

দো-আঁশ ও বেলে দো–আঁশ মাটিতে শিম দ্রুত বাড়ে।

৫. শিমে কি প্রোটিন আছে?

হ্যাঁ, শিম উচ্চমানের উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অন্যতম উৎস।

উপসংহার

এই ব্লগ পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম—
শিম এর ইংরেজী নাম কি? শিমে কোন ভিটামিন থাকে? শিম চাষ করার পদ্ধতি কী?

শিম শুধু পুষ্টিকর সবজি নয়, সহজ চাষযোগ্য, স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলনদায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্য। বাজারদর ভালো, চাহিদাও সারা বছর স্থির। ফলে নতুন কৃষক, গৃহস্থ বা উদ্যোক্তা—সকলের জন্যই শিম চাষ লাভজনক ও নিরাপদ বিনিয়োগ।

এই গাইড অনুসরণ করলে যেকোনো কৃষক সহজেই স্বাস্থ্যকর, রোগমুক্ত ও উচ্চ ফলনশীল শিম উৎপাদন করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

Advertisement

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪